• ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার রাত ৪:১৭
S M Tajul Islam অক্টোবর ১৫, ২০২৫

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী খোরশেদুল ইসলামের টেন্ডার কেলেঙ্কারি ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার, কিন্তু তাঁর প্রভাব যেন এখনো অটুট কিছু সরকারি দপ্তরে। এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদুল ইসলাম (ই/এম বিভাগ-১)-এর বিরুদ্ধে।

সূত্র জানিয়েছে, বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং-১, বোর্ডিং ব্রিজ, হোল্ডিং লাউঞ্জ ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (ATM-CCT)-এর কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ২৪ মাসের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে বিতর্কিত ‘গ্রীনটেক কোম্পানি’কে দেওয়া হয়।

অভিযোগ অনুযায়ী, এই গ্রীনটেক কোম্পানির মালিক আতিক আহমেদ, যিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শিরিন আহমেদের মেয়ের জামাই। শিরিন আহমেদ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রাতের ভোটের এমপি ও সভাপতি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এই সম্পর্কের কারণেই কোম্পানিটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেন নির্বাহী প্রকৌশলী খোরশেদুল ইসলাম।

সম্প্রতি একাধিক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে অফিসার্স ক্লাবের এসি প্রকল্পে গ্রীনটেকের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রচারিত হয়, যা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। অথচ সেই একই কোম্পানিকে আবারও কাজ পাইয়ে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে — কোন স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত?

২০২৩ সালে একই রকম টেন্ডার হয়েছিল যাহা বর্তমানে টেন্ডারের কোন মিল নেই। বর্তমান টেন্ডার প্রক্রিয়ার শর্ত পরিবর্তন করে গ্রীনটেকের পক্ষে সুবিধা তৈরি করা হয়েছিল। এতে বোঝা যায়, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে গেলেও তাঁর ঘনিষ্ঠদের প্রভাব এখনো প্রশাসনের ভেতরে গভীরভাবে রয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কিছু কর্মকর্তা এখনো “আওয়ামী ঘরানার অক্সিজেন ট্যাংক” হয়ে আছে, যারা সরকারের পতনের পরও পুরনো ক্ষমতার দালালি করছে।এ সকল ইঞ্জিনিয়াররা মনে করে শেখ হাসিনা আবারও আসবে। তাদের কারণেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিলীন হওয়ার পথে।

দেশের জনগণ যে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছে, সেই শাসনের ছায়া এখনো সরকারি দপ্তরের দেয়ালে লেগে আছে — এমনটাই বলছে সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *