• ১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার রাত ২:৪৭
S M Tajul Islam অক্টোবর ১০, ২০২৫

ইসরাইলের হাত থেকে মুক্তি পেলেন শহিদুল আলম

ডেস্ক : আলোকচিত্রী ও লেখক ড. শহিদুল আলমসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার ‘কনশানস’ জাহাজের সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ক্রু সদস্যকে বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোরে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী অপহরণ করে। তবে সে বন্দিদশা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন শহিদুল। একটি ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

সেখানে বলা হয়, ‘ইসরায়েল থেকে আজ বিকেলে একটি ফ্লাইট ছেড়েছে, যাত্রীর তালিকায় আছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। তুরস্কের সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইটটি টিকে ৬৯২১স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করার কথা।’

এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। শহিদুল আলমের মুক্তি ও তাকে দেশে ফেরাতে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এর আগে গত বুধবার (৮ অক্টোবর) ইসরাইলি সেনারা গাজামুখী ওই নৌবহরে হামলা চালিয়ে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে আটক করে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দৃক জানায়, ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরাইল (যারা অপহৃত ফ্রিডম ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টদের হয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছে) এর মাধ্যমে আমরা জেনেছি, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলা নৌবহরের সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের নাবিকদের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ইসরাইলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

ইসরাইলের সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র কেৎজিয়েত কারাগার নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত। এখানে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অবশেষে সে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন শহিদুল আলম। শিগগিরই তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *