
রাশিয়ার ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, জারি সুনামি সতর্কতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত অঞ্চল কামচাতকা উপদ্বীপে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পরপরই সেখানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে।
গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ঝুঁকিতে:
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
ইয়েলিজোভো বিমান ঘাঁটি – পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতকায় অবস্থিত।
ভলিউচিনস্ক সাবমেরিন ঘাঁটি – প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের একটি প্রধান ঘাঁটি, কেন্দ্রস্থল থেকে মাত্র ২০–৩০ কিলোমিটার দূরে।
শারোমি বিমান ঘাঁটি ও একটি নৌবিমান ঘাঁটি – শহর থেকে প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার উত্তরে।
তবে ভূমিকম্পের সময় এসব ঘাঁটির সাবমেরিন বা বিমান সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কেও আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় প্রশাসন ও সতর্কতা ব্যবস্থা:
কামচাতকার গভর্নর ভ্লাদিমির সলোদভ জানিয়েছেন, সব জরুরি সেবা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রুশ কর্তৃপক্ষ সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
অন্যদিকে, হাওয়াই-ভিত্তিক মার্কিন প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারও সতর্কতা ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের প্রভাবে পুরো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। জাপানসহ আশেপাশের দেশগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এমনকি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা কামচাতকা:
পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতকার জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮১ হাজার। শহরটি কুরিল–কামচাতকা আর্কে অবস্থিত, যা বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প-সক্রিয় এলাকা।
এ আর্কটি জাপানের হোক্কাইডো থেকে কুরিল দ্বীপপুঞ্জ হয়ে কামচাতকা উপদ্বীপ পর্যন্ত প্রায় ২,১০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ একই এলাকায় ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তখনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।