• ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার রাত ১:৫৭
S M Tajul Islam সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

সিলেটে সড়ক ও ফুটপাত ছেড়ে দিতে হকারদের ১৫ দিনের আলটিমেটাম

সিলেট : সিলেট নগরের সড়ক ও ফুটপাত থেকে হকারদের সরিয়ে দিতে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি করপোরেশন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে হকারদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে দখলে রাখা রাস্তা ও ফুটপাত ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে হকাররা নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। এতে করে নগরবাসীর চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দেয়। নাগরিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে নামে।

ফুটপাত পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম ও সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার।

তারা জানান, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য সিটি করপোরেশন আগে থেকেই নগরের লালদিঘীরপাড় এলাকায় একটি নির্ধারিত স্থান নির্ধারণ করে রেখেছিল। ওই জায়গাটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংস্কার করে হকারদের ব্যবসার উপযোগী করে দেয়া হবে।

পরিদর্শনে আরও জানানো হয়, ১৫ দিন পর ফুটপাত বা সড়কে বসা কোনো হকার থাকতে পারবে না। যারা নির্ধারিত স্থানে যেতে অস্বীকৃতি জানাবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযানকারী দল নগরের কিনব্রিজ, দক্ষিণ সুরমা, কোর্ট পয়েন্ট, বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সরেজমিনে যান এবং হকারদের সঙ্গে কথা বলে ১৫ দিনের আলটিমেটামের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন। অভিযানের অংশ হিসেবে কিনব্রিজ ও দক্ষিণ সুরমার যমুনা মার্কেটের সামনের ফুটপাত থেকেও হকারদের সরিয়ে দেয়া হয়।

ফুটপাত পরিদর্শনের সময় সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বর্তমান প্রশাসনের আন্তরিকতা ও উদ্যোগ আছে। তারা স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে ফুটপাত ও রাস্তা হকারমুক্ত করতে এগিয়ে এসেছে। নিশ্চয়ই সবার সহযোগিতায় শিগগির ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত হবে।

জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, শহরটা আমাদের সবার। এই শহর যদি সুশৃঙ্খল থাকে, তাহলে এর সুফল আমরা সবাই পাব। এই শহরের প্রধান সমস্যা হকার সমস্যা। আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসেছি। এখানে কয়েক হাজার হকার আছে। পুনর্বাসনের যে জায়গা আছে, সেটা দ্রুত সংস্কার করে হকারদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা আশাবাদী, খুব অল্প সময়ে এ শহর হকারমুক্ত হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের নির্ধারিত স্থানটি দ্রুততার সঙ্গে সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর আর কোনো হকারকে ফুটপাতে বসতে দেয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *