• ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার রাত ১২:২৮
S M Tajul Islam সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

সজীবের কাছে জিম্মি কর্নফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপার্টমেন্ট মালিকরা, মুক্তির দাবি

ঢাকা: সাইফুল ইসলাম সজীবের অত্যাচারে হাজারো মানুষসহ কর্নফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপার্টমেন্ট ফ্ল্যাট মালিকদের জিম্মি দশা থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন।

‎শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

‎অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা লিখিত বক্তৃতায় অভিযোগ করে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকার দুই থানায়, রামপুরা ও ভাটারায় ছাত্র হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইফুল ইসলাম সজীব। সাইফুল ইসলাম সজীব জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সময় রামপুরা ও ভাটারা থানা কেন্দ্রীক এলাকাগুলিতে ছাত্রদের উপর বর্বরতা হত্যা ও নৈরাজ্য চালায়। বিজ্ঞ সি, এম, এম আদালতের দায়েরকৃত মামলার ৩৪৮/২০২৫, রামপুরা থানায় ৭নং তালিকাভুক্ত আসামী এবং ১৩৯/২০২৫ দায়েরকৃত মামলার ভাটারা থানায় ৬৯ নং তালিকাভুক্ত আসামী সাইফুল ইসলাম সজীব। দুই থানায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র হত্যার অন্যতম আসামী হয়েও এখন তিনি বিগত দিনের মত অপরাধী হয়েও স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করছেন। বিগত সরকার আমলে তিনি একাধিক অপরাধের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেন এবং এখনও তিনি তার অপরাধের স্বর্গ রাজ্যের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর সাইফুল ইসলাম সজীব কর্নফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপামেন্ট, কাকরাইলের বসবাসরত মোঃ মিজানুর রহমান লফিজের বাসায় ৪০ থেকে ৫০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে ৬ আগস্ট আনুমানিক রাত ৮টার দিকে বাসায় ঢুকে হামলা চালায় এই হামলায় মিজানুর রহমান বাসায় না থাকায় তার ছেলে, মেয়ে এবং কাজের ছেলেকে মেরে জগম করে। সিসি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মোঃ মিজানুর রহমান লফিজ বাসায় বহিরাগত লোকজন জোড় পূর্বক প্রবেশ করছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সিসি ক্যামেরা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তার বাসায় প্রবেশ করার কিছুক্ষন পরই, বাসায় লুটপাট করার উদ্দেশ্যে সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে যাতে কওে লুটপাটের ভিডিওতে যাতে প্রমান না থাকে। সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গার সাথে সাথেই মোঃ মিজানুর রহমান লফিজের বাসায় মামলা, ভাংচুর পরর্বতীতে লুটপাট চালায়, লুটপাটে ২টি আই ফোন, ১ টি আই ট্যাব স্বর্নলংকার মেহমানের ফোন ও লাগেজ লুট করে নিয়ে যায়। এই হামলায় কর্নফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপামেন্টের গেটের সিসি ক্যামেরাও ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং মাইকের মেশিন ও মসজিদের মাইকের স্ট্যান, স্টান্ড ফ্যান নিয়ে যায়। এই হামলা চলাকালীন অবস্থায় খারাপ দেখে আশে-পাশে লোকজন সেনাবাহিনীদের ফোন করে সহযোগিতা চায়, কিছুক্ষন পরই সেনাবাহিনী এসে ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল ইসলাম সজীবের ভাড়া করা সন্ত্রাসী ৭জন কে হামলা করা অবস্থায় ধরে নিয়ে যান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্নফুলী গার্ডেন সিটির ফ্ল্যাটে ৫১ জন মালিক উপস্থিতি থেকে একত্রিত হয়ে ফাইনাল মিটিং করে ৬জন (ছয় জন) বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলায় করেন, যার মামলা নং-২ ( ১৮/০৮/২০২৪ ইং)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *