• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার সকাল ১১:৫৭
S M Tajul Islam সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫

রাজনৈতিক সহিংসতা, মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন!

ঢাকা : সহিংসতা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করে ফ্যাসিবাদ ফেরত আনার পথ তৈরি করবে। ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং দুপুর ১২ টায় ভাসানী জনশক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গনতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এড.হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী জনশক্তি পার্টির মুখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল কাদের,প্রেসিডিয়াম সদস্য আমিনুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দিপু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, জেএসডি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল ভুইয়া। গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ নিরংকুশ করার স্বার্থে ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করতো। জনগণের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে বিভেদ, বিভক্তি তৈরি করতো। ফ্যাসিবাদী টিকিয়ে রাখতে ট্যাগিং এর রাজনীতি, বিচার বহির্ভূত হত্যা, জুলুম করতো।

অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশ হবার কথা ছিল আইনের শাসন ও সামাজিক সুবিচারের। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি সরকারের ১ বছর পরও আইনের শাসনের বালাই নাই। বরং সরকারের নিস্ক্রিয়তার ও কখনো কখনো প্রশ্রয়ে মব সন্ত্রাস চলছে।

ধর্মের নামে মাজার ভাঙ্গার যে প্রতিযোগিতা এদেশে চলছে, সরকার তা থামানোর কোন উদ্যোগ নেয় নাই। ফলাফল গতকালের কবর থেকে তুলে লাশ পোড়ানোর ঘটনা। এ চরম অধর্মের ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা ন্যাক্কারজনক। এসব ঘটনায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয়ের খবরও খুবই উদ্বেগজনক। আমরা অবিলম্বে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ ও প্রতিটি ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাই।

এছাড়া জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগ এর ঘটনারও আমরা নিন্দা বা প্রতিবাদ জানাই। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ফ্যাসিবাদী সরকারের অংশ ও সহযোগী জাতীয় পার্টির অবশ্যই বিচার হতে হবে এবং আইনী প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করার এখতিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আছে। কিন্তু বিচার বহির্ভূত সকল হামলা, লুটপাট, দখল প্রচেষ্টা, সংঘাত দেশে অরাজকতা তৈরি করছে। অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি এখন প্রধান বাধা হয়ে উঠছে। নাগরিকদের অধিকার, সম্মান ও মর্যাদার রাষ্ট্র গড়ার পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠেছে এবং তা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার ফিরে আসার পথ তৈরি করছে।

ধর্মের নামে, অভ্যুত্থানের নামে এসব ভাংচুর, বিচার বহির্ভূত হামলা, অগ্নিসংযোগ, দখলবাজী, লুটপাটবাজী এখনি বন্ধ করতে হবে। এ ধরনের অরাজকতার সুবিধাভোগী হবে অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি, সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকার এবং সামগ্রিকভাবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে আবারো একটি উগ্রবাদী, ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি দিতে পারে এসব দূর্যোগ। এসব হলে তার পরিণতি অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তি সহ জনগনকেই বহন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকেও যার যার অবস্থান থেকে এসব ষড়যন্ত্র ও দুষ্কর্মের প্রতিবাদ করতে, প্রতিরোধ করতে আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *