• ২০শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার বিকাল ৫:৩৭
S M Tajul Islam আগস্ট ২০, ২০২৫

দিল্লিতে আওয়ামী লীগের নেতা শেখ হাসিনার জন্য রাজনৈতিক কার্যালয়

ঢাকা : দিল্লিতে শেখ হাসিনার জন্য একটি রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আগামীতে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভারতের ডিপ স্টেট তথা গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনা এবং সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে এই রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে বলে ঢাকা, দিল্লি এবং কলকাতার কূটনৈতিক সূত্রগুলো আমার দেশকে নিশ্চিত করেছে।

দিল্লির এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশের জন্য এক অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এটা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। শেখ হাসিনার জন্য রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এক ভয়াবহ হস্তক্ষেপ। দিল্লির আধিপত্যবাদী এই আগ্রাসন মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের ঐক্যের বিকল্প নেই।

গত বছর জুলাই বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার এক বছর পর শেখ হাসিনার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে এই রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করা হলো। এই রাজনৈতিক কার্যালয়কে শেখ হাসিনার সচিবালয় হিসেবে উল্লেখ করছে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়া দিল্লির যে সুরক্ষিত ভবনে শেখ হাসিনা অবস্থান করছেন সেই ভবনেই তার জন্য সচিবালয় স্থাপন করা হয়েছে। আধুনিক কমিউনিকেশন ফ্যাসিলিটিজসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই সচিবালয়ে। শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ এবং বার্তা আনা-নেওয়ার জন্য দিল্লির একজন প্রভাবশালী বাঙালি সাংবাদিককে নিয়োগ করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নানা ধরনের চাপ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ওই বাঙালি সাংবাদিক ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে ওই কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের লক্ষ্যে লন্ডনে একটি লবিং ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি জাতিসংঘে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে চাপ দিতে স্টিভেন পল্‌স কে সি এবং অ্যালেক্স টিনসলে নামের ব্রিটেনের দুই বিখ্যাত আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে অংশ নিতে পারে সে জন্য জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে এই দুই আইনজীবীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জাতিসংঘে একটি আবেদনও করা হয়েছে। গণতন্ত্র উন্নয়নবিষয়ক জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কাছে করা আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, যা মৌলিক-মানবাধিকারের পরিপন্থী। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। জাতিসংঘ যেন এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেয়।

দিল্লিতে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের তৎপরতা সম্পর্কে অবগত এমন একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা এখন নিয়মিত তার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে ৫ আগস্টকে সামনে রেখে শেখ হাসিনা ওই বৈঠকটি করেন। ওই বৈঠকে অংশ নেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাবতীয় তৎপরতা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ছক অনুযায়ীই পরিচালিত হচ্ছে। বিষয়টি সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধায়ন করছেন স্বয়ং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। শেখ হাসিনা পালিয়ে দিল্লি যাওয়ার পর হিন্দল বিমান ঘাঁটিতে অজিত ডোভালই তাকে রিসিভ করেছিলেন। ভারতের এই প্রভাবশালী নীতিনির্ধারক দিল্লিতে শেখ হাসিনার লোকাল গার্ডিয়ান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যেমনটি ছিলেন প্রণব মুখার্জী।

উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই নানাভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক অপচেষ্টা চালিয়েছে দিল্লি। কখনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ, কখনো সীমান্তে হত্যার মাধ্যমে উত্তেজনা তৈরি, আবার কখনো শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের অডিও রেকর্ড ফাঁস করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে দিল্লি। ভারতের নীতিনির্ধারকদের ধারণা ছিল, অব্যাহত চাপের মুখে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসতে বাধ্য হবে এবং সহজেই শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবে হারিয়ে যাওয়া দিল্লির আধিপত্যবাদী প্রভাব আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিল্লি নিয়ন্ত্রিত পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্বাধীন এবং ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছেন। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। নিষিদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। সর্বোপরি গণহত্যার দায়ে বিচার শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার। আগামী নির্বাচনের আগেই এই বিচার সম্পন্ন হতে পারে। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন এক প্রকার অসম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে দিল্লির নীতিনির্ধারকদের।

দিল্লি এবং কলকাতার একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের নীতিনির্ধারকরা তাদের বাংলাদেশ পলিসি নিয়ে রীতিমতো দ্বিধায় পড়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। বিএনপির সঙ্গে তাদের এক ধরনের যোগাযোগ রয়েছে। তবে বেগম খালেদা জিয়াকে ভারতের ডিপ স্টেট একেবারেই বিশ্বাস করে না। আগামী নির্বাচনে বিএনপি নিশ্চিত ক্ষমতায় আসবে এটা জেনেও তাদের ওপর ভরসা পাচ্ছে না দিল্লি। প্রবল ভারতবিরোধী জনমত উপেক্ষা করে বিএনপি কতটা ভারতমুখী হতে পারবে অথবা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনে কতটা ছাড় দিতে পারবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে দীর্ঘ মেয়াদে রাখতে হতে পারে। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনার জন্য সচিবালয় স্থাপনসহ দালাইলামা মডেলে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে নানা পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে দিল্লি। ভারত যে কোনো পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পাশে থাকবে এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্য এবং মনোবল ধরে রাখতে বিভিন্ন পক্ষকে মাঠে নামিয়েছে ভারতীয় ডিপ স্টেট। হাজির করা হচ্ছে নতুন নতুন বয়ান।

ওই কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরো জানায়, বাংলাদেশের সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক অটুট রয়েছে, ভারতীয় সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্য, কলকাতায় আওয়ামী লীগের অফিস খোলার খবর, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেওয়া বিবৃতি যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি বলে উল্লেখ করেছেন। ড. ইউনূসকে নিরাপদ প্রস্থান খুঁজতে হবে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এমন আগ্রাসী মন্তব্য, টিআইবি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনা, সর্বশেষ ১৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা সব কিছুই একই সূত্রে গাঁথা।

গত কয়েকদিন আগে দিল্লি প্রেস ক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী একটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পরিস্থিতি, দিল্লিতে শেখ হাসিনার তৎপরতা, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন। ভারতের ডিপ স্টেটের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই সাংবাদিক। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে অনেক স্পর্শকাতর ইস্যুর অবতারণা করেছেন এই বাঙালি সাংবাদিক। ওই সাক্ষাৎকারে গৌতম লাহিড়ী বলেন, শেখ হাসিনা দিল্লিতে একজন প্রধানমন্ত্রীর মতোই আছেন। তাকে সেই ধরনের প্রটোকল দেওয়া হচ্ছে। তিনি তো বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। তিনি নিয়মিত তার সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। শেখ হাসিনার মতো রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার রেওয়াজতো ভারতের রয়েছে। অতীতে দালাইলামাকে একইভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে চান। আমি নিশ্চিত তিনি এই বছরেই বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।

বাংলাদেশে যে কোনো সময়ে একটি অভ্যুত্থান হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো দেখছি ড. ইউনূস দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছেন। যে কোনো সময়ে মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিতে পারে। একটা পাল্টা অভ্যুত্থান হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অতীতে আমরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহণ করতে দেখেছি।

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পরিকল্পনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে গৌতম লাহিড়ী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত সরকারের অবশ্যই একটি নীলনকশা আছে। অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়।

দিল্লি প্রেস ক্লাবের সভাপতির এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ধরনের স্পর্শকাতর কথাবার্তা ছড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া জানা বোঝার চেষ্টা করছে ভারতের ডিপ স্টেট। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভারতের নীতিনির্ধারকরা আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে আরো অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তা নিয়ে বিশ্লেষকদের কোনো সন্দেহ নেই।

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরীর সঙ্গে আলাপে দিল্লির এই পদক্ষেপকে এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭১-এর পর ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশকে তাদের মতো করে চলতে হবে। সেই মাইন্ডসেট থেকে তারা এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের ৫ আগস্টের পরিবর্তনটা স্বীকারই করতে চাইছে না। তারা বাংলাদেশে তাদের পছন্দের সরকার চাইছে। জনগণের সরকার তারা চায় না। তিনি বলেন, ভারত এখন নানাভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চাইবে। সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াবে। অশান্ত হতে পারে পার্বত্যাঞ্চল। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাশকতা তৈরি করতে পারে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে। কারণ ভারতের সমর্থকগোষ্ঠী নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর ভারতীয় দালালদের চিহ্নিত করা দরকার ছিল তা করা হয়নি। ভারতীয় এই আগ্রাসন মোকাবিলায় দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের মধ্যে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি বলে মন্তব্য করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ ভারতের এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশের জন্য এক অশনি সংকেত আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এটা ভারতের চিরাচরিত একটি আচরণ। ভারত দালাইলামাকে আশ্রয় দিয়ে বছরের পর বছর রেখেছে এবং দালাইলামা প্রকাশ্যে তার কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। এখন বাংলাদেশের দালাইলামা শেখ হাসিনার জন্যও একই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। শেখ হাসিনাকে তারা পুষবে। শেখ হাসিনাকে তারা শুধু রাজনৈতিক কার্যালয়ই দেবে না। আর্থিক সুবিধাসহ যা প্রয়োজন তাই দেবে। এটাই তাদের আধিপত্যবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, এটা দিল্লির অসৌজন্য এবং শত্রুতামূলক আচরণ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভয়াবহ হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশের জন্য এ এক অশনিসংকেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *