ঢাকা : আজ ১০ মে শনিবার বিকেল ৩ টায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্বের প্রয়োজনীয়তা ও দায়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবু বকর রফিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক জাকির হোসেন। সভাপতিত্ব করেন দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশন লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এবং ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ। প্রধান মেহমানের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবু বকর রফিক বলেন, ইসলামী ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করা ঈমানী দায়িত্ব, তদুপরি বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্ব উপমহাদেশের মুসলমানদের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।

মূল প্রবন্ধে এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা সমগ্র ভারতের প্রতিটি অঞ্চলের মুসলমানদের রক্ত, ঘাম, শ্রম ও ত্যাগের ফসল, ভারতের যেসব এলাকার মুসলমানরা জানত, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলে তাদের ভূখন্ড পাকিস্তানের অংগ হবে না তারাও আন্দোলন, সংগ্রাম ও ভোট দিয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছিল। পাকিস্তানের পক্ষে ভোট প্রদানের কারণে সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা ১৯৪৬ সাল থেকে অদ্যাবধি ভারতে থেকে যাওয়া মূলসমানদের উপর চরম দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। তাদের ঘর, মসজিদ, মাজার, খানকা, কবরস্থান মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় বর্তমান বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মূলসমানদের দায় রয়েছে উগ্র হিন্দুদের অত্যাচার থেকে ভারতীয় মুসলমানের উদ্ধার করা। এজন্য বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাওয়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অবঃ) আবদুল হক, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ কর্নেল (অবঃ) আশরাফ-আল-দ্বীন, মাছিহাতা দরবার – শরীফের পীরজাদা সাইয়েদ মুহাম্মদ আহসান, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, আফজাল ওয়ার্সী, কবি জাফর উল্লাহ জাফের প্রমুখ।

বিশেষ মেহমানের বক্তব্যে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতের নির্যাতীত নিপীড়িত মুসলমানদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও চীনের সাথে কৌশলগত মিত্রতা স্থাপন করতে হবে।