Breaking News
* তিন দিনে ইউক্রেনের ৩ হাজার ৭১৫ সেনা নিহত * গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত ২১ হাজার, মৃত্যু ২৫৪ * যুক্তরাষ্ট্রে হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে গুলি, নিহত ২ * ওয়ারীতে গ্যাসলাইনে আগুন, দগ্ধ ৬ * গ্রেফতার এড়াতে লাহোর হাইকোর্টে পিটিশন বুশরা বিবির * ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু * জাতিসংঘের সহায়তায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে: আমু * শ্রম আইন নিয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত * কাঙ্ক্ষিত স্যাংশন না পেয়ে মির্জা ফখরুল প্রলাপ বকছেন : কাদের * মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বাধিক আলোচিত

POOL

আওয়ামী লীগ এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় থাকতে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আপনি কি তাঁদের সাথে একমত?

Note : জরিপের ফলাফল দেখতে ভোট দিন

'কিছু খাদ্যাভাস হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর'

11-05-2022 | 01:39 pm
লাইফ স্টাইল

প্রাত্যহিক জীবনে শরীরের চালিকাশক্তি হিসেবে আমরা নানা ধরনের খাবার গ্রহণ করি। কিছু খাদ্যাভাস প্রত্যক্ষভাবে আমদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

শারমিন সুলতানা: প্রাত্যহিক জীবনে শরীরের চালিকাশক্তি হিসেবে আমরা নানা ধরনের খাবার গ্রহণ করি। মানুষ ভেদে খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে কিছু খাদ্যাভাস প্রত্যক্ষভাবে আমদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

হৃদরোগের অন্যতম নিয়ামক হলো কোলেস্টেরেল। রক্তে কোলেস্টেরল পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে পারলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। আবার কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার কম খেলেও রক্তে এর পরিমাণ কমে যায়।

জেনে নেয়া যাক কোন খাবারগুলো হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর:
ফাস্টফুড: অধিকাংশ ফাস্টফুড তৈরি করা হয় তেল দ্বারা।আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন জার্নালের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহে একবার নিয়মিতভাবে যারা ফাস্ট ফুড খায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের মারা যাওয়ার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে ২০% বেশি। যারা একের বেশি অর্থাৎ দুই/তিন বার খায়, তাদের হার আরো বেশি- ৫০%। শুধু তা-ই নয়, সপ্তাহে যারা চার বা তার চেয়েও বেশি বার ফাস্ট ফুড খায়, তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি ৮০% এরও বেশি।

রেড মিট: অতিমাত্রায় রেডমিট হৃদরোগের কারণ-এটা নতুন তথ্য নয়। তবে সেটা যে কেবল রেডমিটের ফ্যাট বা কোলেস্টেরলের কারণে তা কিন্তু নয়, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, রেডমিট ভেঙে কারনিটাইন নামে একটি যৌগ দেহে তৈরি হয়, যা ট্রিমাথাইলেমাইন এন অক্সাইড নিঃসরণ করে। আর এথেরোসক্লেরোসিস বা আর্টারিতে ব্লক সৃষ্টিতে এই ট্রিমাথাইলেমাইন একটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

কলিজা, মগজ, হাড়ের মজ্জা: কলিজা, মগজ, হাড়ের মজ্জা- এই অংশগুলোতে বেশি পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে। তাই যারা হৃদরোগী তাদের কলিজা, মগজ বা নেহারি জাতীয় খাবার বর্জন করা উচিত।

চিংড়ি: হৃদরোগীদের জন্যে আরেকটি বর্জনীয় খাবার হলো চিংড়ি। দেখা গেছে, ক্যালরি এবং ফ্যাট কম থাকলেও চিংড়িতে আছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল। সাড়ে তিন আউন্স ওজনের একপিস রান্না করা স্যামন মাছে যেখানে মাত্র ৬২ মিগ্রা কোলেস্টেরল, সেখানে একই পরিমাণ চিংড়িমাছে পাওয়া গেছে ১৮৯ মিগ্রা কোলেস্টেরল।

ডিমের কুসুম: ডিমের সাদা অংশ খাওয়া গেলেও হৃদরোগীদের জন্যে ডিমের কুসুমটা এড়িয়ে চলাই উত্তম। কারণ ডিমের কুসুমে আছে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল। দেখা গেছে, একটি বড় আকারের মুরগির ডিমে যে ১৮৬ মিলিগ্রাম পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে, তার পুরোটাই আছে কুসুমে। আর একজন হৃদরোগীর দিনে ২০০ মিগ্রা-র বেশি কোলেস্টেরল গ্রহণ করা উচিত নয়।

ঘি-মাখন-ডালডা: অভিজাত খাবারের তালিকায় ঘি-মাখন এক অনিবার্য অনুষঙ্গ হলেও এতে আছে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট। সেইসাথে আছে পালমিটিক এসিড, যা হতে পারে আর্টারি ব্লকের কারণ।

অতিরিক্ত ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার: ডিপ ফ্রাই খাবার মুখরোচক তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু খাবার যত ভাজা হয়, তার খাদ্যমান তত কমতে থাকে, তত তাতে যুক্ত হতে থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাট। এমনও দেখা গেছে, একটা পর্যায়ে খাবারে আর কোনো ক্যালরিই অবশিষ্ট থাকে না। যেমন, মাংস বা কোনো কিছু ভাজার সময় দেখবেন তেলের মধ্যে প্রচুর বুদবুদ উঠছে। এর কারণ হলো খাবারটার ভেতরে যে পানিটা আছে, তেলে ছেড়ে দেয়ার ফলে তা বেরিয়ে এসেছে এবং তেলের তাপ এবং চাপে তা শুকোতে শুরু করেছে। ডিপ ফ্রাই হতে হতে পানি যখন পুরোপুরি শুকিয়ে যায়, বুদবুদ ওঠাও তখন বন্ধ হয়ে যায়। খাবারের ভেতরে পানির বদলে তখন ঢুকে যায় তেল। এমনিতেই মাংস বা এই জাতীয় খাবারগুলোতে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, তার ওপর তেল যুক্ত হয়ে তার ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায় বহুগুন।

কমেন্ট

<<1>>

নাম *

কমেন্ট *

সম্পর্কিত সংবাদ

© ২০১৬ | এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি | dainikprithibi.com
ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট - মোঃ রেজাউল ইসলাম রিমন