
সন্ত্রাসীদের মত পিস্তল উচিয়ে ‘গুলি’ করেন, কে এই সোহেল?
নিজস্ব প্রতিবেদক।। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাবেক এক সংসদ সদস্যকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এর আগে তিনি পিস্তল উচিয়ে ‘গুলি’ ছোড়েন সম্প্রতি। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার পারকুল খোয়াই সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই সংসদ সদস্যের নাম রানা মোহাম্মদ সোহেল। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
সন্ত্রাসীদের মত পিস্তল উচিয়ে ‘গুলি’ কারী, সোহেল নিজেকে শুধু সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দিয়েছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার সেতুতে বেলা দুইটার দিকে একটি জিপ পারকুল খোয়াই সেতু পার হচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে শাহীন মিয়া নামের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে সেতুতে ওঠেন। এতে আটকা পড়ে জিপটি। এ সময় চালকের আসন থেকে নেমে ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে পরপর দুটি গুলি ছোড়েন। তবে গুলি শাহীনের শরীরে লাগেনি। এরপর আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। আটক করে চুনারুঘাট থানা-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় আটক হওয়া ব্যক্তির স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে আহত শাহীন মিয়া জানান, ওই ব্যক্তি কোমর থেকে রিভলবার বের করে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি ছোড়েন। এ সময় তিনি মাটিতে গড়িয়ে পড়ায় রক্ষা পান। তবে পড়ে গিয়ে কিছুটা আহত হয়েছেন বলে জানান শাহীন।
ঘটনার পরপরই চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আটক ব্যক্তির পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক খান বলেন, আটক ব্যক্তিকে রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল তাঁদের হেফাজতে নিয়ে যান। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রটি চুনারুঘাট থানা-পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। তিনি কী কারণে গুলি ছোড়েন, বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলের রাতের ভোটের এই অবৈধ এমপি চুনারুঘাটে বহু লোকের জায়গা/জমি অবৈধ ভাবে দখলের অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ অস্র আইন মামলায় তার বিরুদ্ধে কেন কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন? কোন অদৃশ্য শক্তির জোরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হইতেছে না জনগণ জানতে চায়!