• ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার রাত ১:২২
S M Tajul Islam ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন।

এস এম মাহবুবুল আলম বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তার মন্তব্য বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটায় না।

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন যেকোনো ভুল, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনাকে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

অপরাধমূলক বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলিকে হিন্দুদের ওপর পদ্ধতিগত নির্যাতন হিসেবে চিত্রিত করার অপচেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সেঙ্গ আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিদ্বেষপূর্ণভাবে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব প্রচারের জন্য এটা ব্যবহার করার পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা চলছে। আমরা কিছু মহল থেকে একটি নির্বাচনী এবং অন্যায্য পক্ষপাত লক্ষ্য করছি, যেখানে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলিকে বাংলাদেশ, তার কূটনৈতিক মিশন এবং ভারতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাধারণ ভারতীয়দের উত্তেজিত করার জন্য প্রসারিত, ভুলভাবে উপস্থাপন এবং প্রচার করা হয়।

এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী, যার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটেছিল।

তিনি তার মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন, যাকে পরে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণের দৃষ্টিকোণ থেকে এই অপরাধমূলক কাজটি চিত্রিত করা তথ্যগত নয়, বরং তা বিভ্রান্তিকর। বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে, যা সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।

গত ২৬ ডিসেম্বর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে রাজবাড়ীতে স্থানীয়দের পিটুনিতে অমৃত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অমৃত মণ্ডলের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দেয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। যা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বিবৃতিতে বলা হয়, এটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।

অমৃত একাধিক অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। ঘটনাটি নিয়ে সামজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রাণ হারান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *