
মিস্টাল এম আলী গ্রুপের জাহিদুল আলম’র অভিনব ডিজিটাল প্রতারণা
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন জুন ২০২৫ বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ নিয়ে কথা হয় মিষ্টাল এম আলী গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ম্যানেজার পরিচয়দানকারী প্রতারক জাহিদুল আলমের এর সাথে। অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে অ্যাপটি ডাউনলোড করে বিনিয়োগ করা হয় বিকাশের মাধ্যমে । কয়েকজন বন্ধু-সাংবাদিক লেনদেন শুরু করেন। ইনভেস্টমেন্ট এর শর্ত মোতাবেক সোমবার সকাল নয়টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করার সময়। ৭২ ঘন্টার মধ্যে টাকা রেজিষ্ট্রেশনে উল্লেখিত বিকাশে ৬% কমিশন খরচ বাবদ কর্তন করে বাকী টাকা বিকাশে চলে আসবে। প্রতারণার কৌশল দারুণ ৫০-৯০ দিনে দিগুণ-তিনগুণ লাভ। প্রতারক মানুষের সরলতার সুযোগে মহিলা রিসেপশনিস্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সেবা প্রধানের সুযোগ আছে বলে ঘোষণা দেয়। কারো কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেছে। মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করে নতুন নতুন প্যাকেজ ঘোষণা দিতে থাকে। মানুষ ঘরে বসে এত সহজে দ্রুত দিগুণ-তিনগুণ টাকা আয় করা যায় বিশ্বাস করে বিনিয়োগ শুরু করে। সেই ফাঁদে লিপ্সায় কয়েকজন সংবাদ কর্মী বিনিয়োগ করেন, সপ্তাহে ৫দিন লভ্যাংশ ফেরত আসতেছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেখা যায় ভালো ভালো, শিক্ষিত লোকজন এই বিনিয়োগে ইনভেস্টমেন্ট করেছেন বিশ্বাস আরো বৃদ্ধি পায়। কোম্পানি নতুন ফাঁদ পেতে বলে ১ জুলাই ঘোষণা করে বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লব উপলক্ষে কোম্পানি বিনিয়োগের টাকা সমপরিমাণ ফেরত দিবে এক-৩িন দিনের মধ্যে। সাধারণ বিনিয়োগকারী যারা কিছু টাকা ফেরত পেয়েছেন তারা সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করেন। তিনদিন পরে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখা যায় কারো টাকা ফেরত আসতেছে না। সার্ভার হ্যাকের অজুহাতে সবার একাউন্ট জিরো করে দেয়া হয়। নাটক নতুন রূপে আসে। নতুন অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন ব্যবসা করে টাকা ফেরত আনতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষ অল্প বিনিয়োগ বেশি লাভ করতে গিয়ে বারবার প্রতারিত হয়। এই প্রতারক চক্রটি প্রথমে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অনুকূলে লভ্যাংশ ২-৩% প্রতিদিন পরিশোধ করে মানুষ বিশ্বাস সৃষ্টি করে শত কোটি টাকা সারাদেশ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এই বিষয়ে যে বিকাশ ও নগদ কর্তৃপক্ষ সবচেয়ে বেশি প্রতারণায় সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে।বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত লেনদেন করে প্রতারিত হলে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকার কথা। এই প্রতারণার বিষয়ে শাহবাগ থাকায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে যার নম্বর ২১৬২ তারিখ ৩০/০৭/২০২৫।
এই প্রতারক চক্রটিতে যারা আছেন ম্যানেজার জাহিদুল আলম যার মোবাইল নং ০১৮৫৬৭০৯৯৩৯, ০১৮৬৪৫৪৭২৯২ ও আজাহা সুলতান যার মোবালং নং ০১৯৭২৭২৭৫৭৫, লিডার্স যার মোবাইল নং ০১৩৩০৪৮৪৬১১, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন যার মোবাইল নং- ০১৯১৫৭১৮৬৮০, রেদুয়ান খান যার মোবাইল নং ০১৯৭৮৫০৭১০০, শাহিল শরিফুল ইসলাম যার মোবাইল নং ০১৭২৮৯০৮৬৮৩, সুরাইয়া যার মোবাইল নং ০১৩৪০৬৩২২৪৮, ০১৬২২০২০৯৫৬, বিপ্লব দে যার মোবাইল নং ০১৮৩৯৫৫৫০৫০১৯, ফাবাসসিরা যার মোবাইল নং ০১৩৩৮৯৫১১৫৩, জান্নাত যার মোবাইল নং ০১৬০১৫২৯৭০৩, জাহিদ হাসান যার মোবাইল নং ০১৯৭১৭৩২৪৬৫, সিহাব আহমেদ যার মোবাইল নং ১৩১৯৪৭১৯১৯।
অল্প পুজি বিনিয়োগ করে দ্রুত তিনগুন আয় করার প্রলোভনের সাথে বিকাশ ও নগদের কর্তৃপক্ষের যোগসূত্র না থাকলে লাখ লাখ টাকা কি করে ওরা ক্যাশ করবে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে।
বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে, প্রতিকার সহযোগিতার জন্য তাদের অফিসে গেলে কেউ কোন তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করেন নাই।
সাধারণ মানুষের দাবি এই প্রতারকদের মোবাইল ফোনের লোকেশন থেকে অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার ও সাধারণ মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা ফেরত পেতে সহাশতা করার দাবি জানানো হয়।