
মাহবুবুর রহমান ৩৫ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বাণিজ্য সচিব! জড়িত নাহিদ ইসলাম?
এস এম তাজুল ইসলাম : জাতীয় নাগরিক দলের আহ্বায়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্তের দাবি সচেতন মহলের।
বাংলাদেশের প্রশাসন ও রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ৩৫ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ফৌজদারি মামলার আসামি মো. মাহবুবুর রহমানকে বাণিজ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জাতীয় নাগরিক দলের (এনসিপি) আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে, যিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সরকারিভাবে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে একজন ফৌজদারি মামলার আসামিকে সচিব পদে বসানোর ঘটনাটি প্রশাসনিক নীতিমালার চরম লঙ্ঘন। মাহবুবুর রহমান, যিনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) তথ্য পাচার মামলার ৬ নম্বর আসামি, তাকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মাহবুবুর রহমানের পেছনের ইতিহাস:
ছিলেন আইসিটি বিভাগের ডেটা সেন্টারের দায়িত্বে।
তার সময়েই ঘটে কোটি কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য পাচার। বর্তমানে তথ্য পাচার সংক্রান্ত মামলার আসামি।
আইন লঙ্ঘনের প্রশ্ন:
জনপ্রশাসন নীতিমতে, ফৌজদারি মামলার আসামিকে বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। অথচ তাকে পদোন্নতি দিয়ে সরকারি দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
সূত্র বলছে, এই পদোন্নতির নেপথ্যে নাহিদ ইসলাম সরাসরি মধ্যস্থতা করেন এবং এই প্রক্রিয়ায় ৩৫ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
🔹 “যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, এখন সেই দুর্নীতিই আবার ফিরছে” এমন মন্তব্য করছেন অনেকেই।
🔹 নাহিদের নীরবতা এবং এনসিপি’র পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না আসা জনমনে আরও সন্দেহ বাড়াচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতামত:
অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞ, বলেন:
এই নিয়োগ শুধুই একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, এটি পুরো নীতিকাঠামোর ওপর চপেটাঘাত। ফৌজদারি মামলার আসামিকে সচিব বানানো মানে দেশের নিরাপত্তা ও প্রশাসনের ওপর অবিশ্বাস তৈরি করা।