প্রাথমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই: মঞ্জু
ঢাকা : প্রাথমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই বলে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ৪৫ বিজয় নগর,স্কাইভিউ টাওয়ার এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাথে এবি পার্টির মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রাথমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই, আমরা শিক্ষকদের সম্মান করি। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে শিকার।তাদের এই দাবি নেয়ায় সঙ্গত,এই সরকার বৈষম্য নিরসন করতে চাইলে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত অবহেলিত, ক্ষুধার্ত, লাঞ্চিত-বঞ্চিত এবং মানবেতর জীবন-যাপনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণকে সরকারিকরণ পূর্বক সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণের পরিবারের মুখে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিৎ ।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন,ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ এই সরকারের উচিত,অবহেলিত ক্ষুধার্ত-বঞ্চিত মানবেতর জীবন-যাপনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণের এবং তাদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে, তাদের পরিবার পরিজনের সবার মুখে দু’বেলা দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটানো এই সরকারের কর্তব্য।
মুফতি আল্লামা খলিলুর রহমান জিহাদী বলেন আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, দীর্ঘদিন থেকে ৫,৯৫১ (পাঁচ হাজার নয়শত একান্ন) টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪১,৬৫৭ (এক চল্লিশ হাজার ছয়শত সাতান্ন) জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণ তাদের পরিবার নিয়ে ,ক্ষুধার্ত-লাঞ্চিত-বঞ্চিত মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছে। তাই বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে জানাচ্ছি যে, বিগত ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই তৎকালীন সরকার ৩২,০০০ (বত্রিশ হাজার) এবং পরবর্তীতে আরো ৪,১৬৫ (চার হাজার একশত পয়ষট্টি) টি সহ সর্বমোট ৩৬,১৬৫ (ছত্রিশ হাজার একশত পয়ষট্টি) টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে জাতীয়করণ করেছিলেন। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ থাকে এবং ২০১৩ সালের পরে আরো ২৬,১৯৩ (ছাব্বিশ হাজার একশত তিরানব্বই) টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়।
তিনি বলেন,বিগত ৯ই জানুয়ারী ২০১৩ তারিখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাই-বাছাইকৃত দুই স্মারকে (৩৫৩৬+৬২৩) মোট ৪,১৫৯ (চার হাজার একশত ঊনষাট) টি এবং পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত ৯৪৬ (নয়শত ছিচল্লিশ) টি ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াধীন ২৫৫ টি সহ সর্বমোট ৫৩৬০ (পাঁচ হাজার তিনশত ষাট) টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক- শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণ অদ্যবধি তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতাদি হতে বঞ্চিত করে রেখেছেন। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণ যথাযথভাবে কর্মরত থেকে পাঠদান চালিয়ে আসছেন। প্রায় ৭,৫০,০০০ (সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) ছাত্র/ছাত্রী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উক্ত ছাত্র/ছাত্রীরা বিভিন্ন যৌক্তিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করে আসছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ,বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ সমিতির মুখ পাত্র মুফতী আল্লামা খলিলুর রহমান জিহাদী, সংগঠনের সভাপতি মোঃ মাজিদুল ইসলাম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
এবি পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল আসাদুজ্জামান ফুয়াদ উপস্থিত ছিলেন।