• ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার রাত ১০:৪৪
S M Tajul Islam জুলাই ৯, ২০২৫

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে ৯৫.৬৬ ভাগ ইতিবাচক মন্তব্য

এস এম তাজুল ইসলাম : বিএনপির তিনটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং জাতীয় সংলাপের একটি যুগান্তকারী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত চার ধাপের এই সমাবেশে লাখো তরুণের সরব অংশগ্রহণ রাজনীতির ভাষা ও গতিপথে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর আগেও ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিএনপি সারা দেশে তারুণ্যের সমাবেশ করেছিল।

স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরামের (এসপিএফ) এই চার সমাবেশকে নিয়ে গবেষণা করেছে। সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—সমাবেশ ঘিরে তৈরি হওয়া ১৪৮৮টি সংবাদ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসপিএফ দেখিয়েছে, প্রায় ৭০ লাখের বেশি ভিডিও ভিউ। ৯৫.৬৬ ভাগ কভারেজ ছিল ইতিবাচক, যা প্রবল তারুণ্যের সঙ্গে বিএনপির এক গভীর সম্পর্কের দিকনির্দেশ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, চারটি অঞ্চলের মধ্যে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ভিডিও ভিউ (৩০ লাখের বেশি) হয়েছে, যা ডিজিটাল মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ততার স্পষ্ট প্রমাণ। ঢাকা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে—মোট ৩৯৪টি। মিডিয়া কভারেজের দিক দিয়ে সবচেয়ে অনুকূল পরিবেশ ছিল বগুড়ায়, যেখানে ৯৭.৭ ভাগ কভারেজ ছিল ইতিবাচক, আর খুলনায় এই হার ছিল ৯৭.৩ ভাগ। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সমাবেশগুলো সেমিনারের তুলনায় গণমাধ্যমে গড়ে ৭ গুণেরও বেশি কভারেজ পেয়েছে, যেখানে ঢাকার ক্ষেত্রে তা বেড়েছে ২৪ গুণ পর্যন্ত। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, তারুণ্যের শক্তি ও অংশগ্রহণ কেবল রাজপথেই নয়, গণমাধ্যম ও জনমতেও প্রবল প্রভাব ফেলেছে।

এসপিএফের পরিচালক (প্রশাসন) আসিফ হোসেন রচি বলেন, তারুণ্যের সমাবেশ রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বাহিরে গিয়ে—এটি ছিল জাতীয় জাগরণের প্ল্যাটফর্ম। আমাদের তরুণ প্রজন্ম দেখিয়েছে, তারা কেবল ভোটের জন্য নয়, দেশ গঠনের দায়িত্বও নিতে প্রস্তুত। প্রশাসনিক দিক থেকে এত বিশাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন কঠিন হলেও তরুণদের আগ্রহ এবং দলীয় ঐক্য সেটিকে সম্ভব করেছে।

আরেকজন পরিচালক (গণসংযোগ) মাহবুব নাহিদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল তরুণদের কণ্ঠস্বরকে কেন্দ্র করে একটি জাতীয় আলোচনার আবহ তৈরি করা। মিডিয়ার তথ্য প্রমাণ করে, আমরা সফল হয়েছি। লাখ লাখ মানুষ ভিডিও দেখেছে, হাজারের বেশি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এবং অধিকাংশ কভারেজ ছিল অনুকূল।

সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান :
* ১৪৮৮টি সংবাদ প্রতিবেদন (৭৪% ফেভারেবল)
* ৮৭% মিডিয়া কভারেজ ছিল সমাবেশকেন্দ্রিক
* ৯৫.৬৬% মিডিয়া টোন পজিটিভ
* গুগল সার্চ ট্রেন্ডে সমাবেশ কভারেজ ৯.১৯ গুণ বেশি
* ভিডিও কনটেন্টে মোট ভিউ ৭০ লাখ+

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *