• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সোমবার সকাল ৮:২৯
S M Tajul Islam অক্টোবর ১৭, ২০২৪

কোটি টাকার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা গোপাল হচ্ছেন এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী?

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন একজন আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এলজিইডি শাখার সভাপতি। তার জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ২০ অক্টোবর। সেই অনুযায়ী তিনি চলতি মাসের ১৯ অক্টোবর অবসরে যাবেন।

জানা গেছে, মো. আলি আখতার হোসেনের অবসরের পর এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। কিন্তু গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ একজন কট্টর আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠকর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের এলজিইডি শাখার সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি কানে কম শোনেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভু্যত্থানের পর তিনি বেশ কয়েকদিন ভয়ে অফিসে আসেননি।

অভিযোগ আছে, তিনি আওয়ামী শাসনামলে শেখ সেলিম ও শেখ হেলালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং লিটন চৌধুরী ও শাহজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে কাজ করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর গোপালগঞ্জ জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতাচু্যত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন। ৫ আগস্ট গণ অভু্যত্থানের আগ পর্যন্ত তিনি প্রায়ই শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, লিটন চৌধুরী ও শাহজাহান খানের বাসায় এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেনকে নিয়ে মিটিং করেছেন। তিনি ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং আন্দোলনের শহীদদের কখনো স্বীকার করেন না। যার কারণে গণ অভু্যত্থানের পর কোনো প্রোগ্রামে ও মিটিংয়ে বিষয়টি এড্রেস না করে সবসময় কথা বলেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলজিইডিতে সবাই বিব্রত।

জানা যায়, তিনি অফিসে আওয়ামীপন্থি অফিসারদের নিয়ে একটি গ্রম্নপ তৈরি করেছেন এবং আওয়ামীপন্থি অফিসারদের নিয়ে প্রায়ই গোপন মিটিং করেন। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মরত আওয়ামীপন্থি অফিসারদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। এলজিইডি সংশ্লিষ্ট মহল জানান, গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথকে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী করা হলে আওয়ামীপন্থি অফিসারগণ আরও সক্রিয় হবেন। এতে এলজিইডির কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্ত হবে, এলজিইডি একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এতে এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। তাই এলজিইডি’র কার্যক্রম স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখার স্বার্থে আওয়ামী লীগ নেতা ও এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথকে এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা সমীচীন হবে না বলে তাদের অভিমত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *