• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সোমবার রাত ৩:৩৩
S M Tajul Islam ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

নিরীহ, নিরপরাধ ও মাজলুম বহু উলামা ও জনতা এখনো কারাগারে আবদ্ধ

ঢাকা : স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকে পতন করে বৈষম্যহীন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন করার ঘোষণা দিয়েছি। আমরা লক্ষ করছি নতুন স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কারামুক্ত হলেও নিরীহ, নিরপরাধ ও মাজলুম বহু উলামা ও জনতা এখনো কারাগারে আবদ্ধ রয়েছে বলেন মন্তব্য করেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর,) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপরী এই কথা বলেন।

আল্লামা আব্দুল হামিদ বলেন,আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-শিক্ষক, উলামা-তুলাবা ও আপামর জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকে পতন করে বৈষম্যহীন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন করার ঘোষণা দিয়েছি। আমরা লক্ষ করছি নতুন স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কারামুক্ত হলেও নিরীহ, নিরপরাধ ও মাজলুম বহু উলামা ও জনতা এখনো কারাগারে আবদ্ধ রয়েছে।

মৌলানা শফিকুল ইসলাম বলেন,অধিকাংশ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া দলীয় আদালত জামিন দিতে বৈষম্য করছে। তাই আমরা দল-মত, ধর্ম-বর্ণ, দলীয়-নির্দলীয় নির্বিশেষে সকল মাজলুমদের কারামুক্তির লক্ষে নিম্নের ৬ দফা দাবি নিয়ে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের ডাক দিচ্ছি।

১ম দফাঃআওয়ামী দুঃশাসনে সন্ত্রাস-বিরোধী আইন-২০০৯’ নামক কালো আইনে এবং অন্যায় ভাবে আটককৃত সকল নিরপরাধ মাজলুম কারাবন্দীদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। আদালত কর্তৃক জামিন ও বিচারের ক্ষেত্রে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্দীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন আচরণ করতে হবে।

২য় দফাঃসন্ত্রাস-বিরোধী আইন ২০০৯’ নামক কালো আইন অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৩য় দফাঃআওয়ামী সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৪র্থ দফাঃরাষ্ট্র কর্তৃক কোনো অপরাধীকে গুম অথবা ক্রসফায়ার দেয়া যাবেনা। আদালতের ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না। বিগত দিনে যারা গুম ও ক্রসফায়ারের সাথে জড়িত ছিলো তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করতে হবে। দেশের সকল গুমখানা বা আয়নাঘরগুলো খুঁজে বের করে প্রকাশ্যে আনতে হবে। তাছাড়া খুনি হাসিনা পতনের পরদিন সকালে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা কর্তৃক যে নারকীয় হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে সে জন্য তাকেও সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৫ম দফাঃ২০১৩ সালের হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন থেকে নিয়ে ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলনে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও তাদেরকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে।
৬ষ্ঠ দফাঃকারাগারের সকল বন্দীদের জন্য বৈষম্যহীনভাবে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, স্পেন, ফ্রান্স, মেক্সিকো, জার্মানি প্রভৃতি দেশের মতো বন্দিদশায় প্রত্যেক বন্দীকে মাসে অন্তত একবার হলেও তার স্ত্রীর সাথে কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ দিতে হবে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপরী, বক্তব্য রাখেন উক্ত সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মৌলানা শফিকুল ইসলাম, বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *