নিরাপত্তা চেয়ে গাজীপুর কাশিমপুরে গোবিন্দ বাড়ির ৪৮টি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
ঢাকা : প্রধান উপদেষ্টার নিকট নিরাপত্তা চেয়ে গাজীপুর কাশিমপুরে গোবিন্দ বাড়ির ৪৮টি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।সোমবার ২১ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম মিলনায়তনে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, জানমাল রক্ষায় ন্যায় বিচার ও প্রতিকারের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার নিকট নিরাপত্তা চেয়ে গাজীপুর কাশিমপুরে গোবিন্দ বাড়ির ৪৮টি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগীরা এই দাবি জানান।
মোঃ ইসমাইল মিয়া ৪৮টি পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিবাদী মিজানুর ,হাসনাইন, মোশাররফ হোসেন, হাফিজুর রহমান রাজু, হযরত, সিদ্দিক ,হাসনা বেগম, ওসমান,বিমলা খাতুন, আইরিন বেগম , সাহেরা বেগম, মোহাম্মদ মুজিবুর শেখ ,আব্দুল মান্নান শেখ, মোঃ মান্নান শেখ, মোঃ মিনহাজ উদ্দিন শেখ, আব্দুল হাকিম বাচ্চু মিয়া,মীর আকবর ,নাসির সহ আরও ২০/২৫ জন দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ৪৮টি পরিবারের সদসদের চার মাসের হুমকি দিয়ে আসছেন এবং হত্যার চেষ্টা করছেন, তারি ধারাবাহিকতায় গত আগস্ট মাসে ২৭ তারিখ বিবিধ মোকদ্দমা শুনানিতে আসলে আনুমানিক 2 ঘটিকার সময় বিবাদীপক্ষের মান্নানও সিদ্দিক সহ অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন সহকারী কমিশনার ভূমি টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল গাজীপুর এর অফিসে বাহিরে আমার বোনকে প্রান মাসের হুমকি দিয়ে বলেছে যদি আমরা অক্টোবরের ২৩ তারিখ এবং ভবিষ্যতে আর কোনদিন এই এসি ল্যান্ড অফিসে মুকাদ্দমা এর শুনানি দেয়া আসিলে তাহলে তারা আমার বোনকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, বিবাদী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুম খুনের ভয় আগ্নেয়াস্ত্র দাঁড়ালো অস্ত্র এবং পেশি শক্তি ব্যবহার করে বিগত ৯ বছর যাবৎ আমাদের পৈতৃক ভিটা গাজীপুরের কাশিপুর গোবিন্দ বাড়িতে প্রাণনাশের জন্য একাধিকবার আমাদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জম খম করেছে। ২০১৮ সালে ১৮ জুনে আমাকে এবং আমার ভাই এছাক কে ২০১৯সালে ১৫ নভেম্বর প্রত্যেক ভিটা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে অজ্ঞাত স্থানে ও এছাক মিয়াকে পাশে গজারি বনে তুলে নিয়ে আটক রেখে রাতভর হাতুড়ি কাঠ লোহার রোড দিয়ে পিটিয়ে নির্মম নির্যাতন ও রক্তাক্ত করে মৃত ভেবে অজ্ঞাতস্থানে ফেলে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা একাধিকবার অভিযোগ দিয়ে এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশের কাছে গেলেও অদৃশ্য কারণে তারা আমাদের কোন শোয়দা করেনি তাছাড়া বিবাদীগণ বিগত ৯ বছর যাবত সশস্ত্র হামলা গুণের ভয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আমাদেরকে গাজীপুরের নিজ ভিটা আসা থেকে বিরত রেখে আমাদের অজান্তেই তারা তারাই বাদী-বিবাদী হয়ে এবং গোয়া ওয়ারিস পরিচয় অপকৌশলে জমির কাগজপত্র জাল-জালাতি করে আমাদের ৪৮ টি পরিবারের পাঁচটি খতিয়ানে ২৩০ শতাংশ বৈধ পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে আত্মসাৎ করে বিক্রি করেছে, বর্তমানে অবশিষ্ট আছে ১৫০ শতাংশ এটাকেও আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে,
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট আমাদের আকুল আবেদন এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে দায়ী জানাচ্ছি।
আমাদের দাবি সমূহ:
(১)অভিযুক্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ ও অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
(২) বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার ভূমি টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল গাজীপুর মহোদয়ের অফিসের বিধি মুকাদ্দমা নং ১১৮/২৪এর শুনানিতে আসা ও যাওয়ার পথে বিবাদীপক্ষে অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।
(৩) আমাদের প্রত্যেক বিটাই অস্ত্রধারী সন্তোষীদের আক্রমণ ছাড়া নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে যেন যেতে পারি সেজন্য পুলিশ সহায়তা প্রদান করতে হবে।
(৪) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কাশিপুর থানায় যদি খুব শিগ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল গাজীপুর মহোদয়ের অফিসে অনিয়মের ন্যায় বিচার ও প্রতিকার না হয় তাহলে এক মাস পরে কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া পিতা-মৃত মেঘু মিয়া, উপস্থিত ছিলেন ৪৮টি পরিবারের সদস্য বৃন্দ।