• ১১ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার রাত ৯:১৩
S M Tajul Islam জুলাই ২৯, ২০২৫

গাড়িচালক থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক! জাল সনদ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ,

নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি কর্মচারী বয়স জালিয়াতি সরকারি চাকরি নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানে কোটি কোটি টাকা মালিক। শাহীন নানা অপকর্মের বিবরণ: বিশ্বস্ত গোপনসূত্রে জানতে পারি মোঃ শাহিন বড় ভাইয়ের এনআইডি ও সার্টিফিকেট জাল করে ২০১০ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে গাড়িচালক পদে চাকুরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, মহাখালী, ঢাকার গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার স্থায়ী ঠিকানা- মোঃ শাহিন (জন্ম তারিখ-০৫/০৩/১৯৮৪ খ্রিঃ, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বারঃ ৪৬০৭৬২৫৫৮, পিতা- মোঃ আজমত আলী (জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বারঃ ৫০৮৯৪২৮০৫৫, জন্মতারিখ- ০৪/০৩/১৯৬২ ইং, মাতা- সুফিয়া বেগম, গ্রাম- কোনাগ্রাম, ডাকঘর-তালমা, থানা- নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুর । চাকুরিতে যোগদানের পূর্বে তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিবের বাসায় কাজ করতেন। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের বাসায় কাজের সুবাদে উক্ত সচিবের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গাড়িচালক পদে জাল সার্টিফিকেট জালিয়াতি সনদ দেখিয়ে চাকুরী পায়, তখন থেকেই তার প্রভাব খাটিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের গাড়ি চালান। মোঃ শাহিন উক্ত সচিবের প্রভাব খাটিয়ে তার বড় ভাই মোঃ সহিদ (জন্ম তারিখ-০৫/০৩/১৯৮৪, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বারঃ ১৯০৬৯৬৮৫৩০, (কপি সংযুক্ত), পিতা- মোঃ আজমত আলী, মাতা- সুফিয়া বেগম, গ্রাম- কোনাগ্রাম, ডাকঘর- তালমা, থানা- নগরকান্দা, জেলা- ফরিদপুর, কে জালিয়াতির মাধ্যমে একই সার্টিফিকেট/এনআইডি ব্যবহার করে ২০১২ সালে খাদ্য অধিদপ্তরের সাইলো অপারেটিব পদে চাকুরি দেন এবং ২০২৪ সালে ভেহিক্যালস মেকানিক পদে পদোন্নতি নেন। বর্তমানে তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কেন্দ্রিয় ওয়ার্কশপ, গোলাপবাগ, সায়েদাবাদ, ঢাকায় কর্মরত আছেন। দুই ভাই যেভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরিতে যোগদান করেন ঠিক একই পন্থা অবলম্বন করে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনকে জাল/জালিয়াতি ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে চাকুরি দেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। তার ছোট ভাই মোঃ আল আমিন (জন্ম তারিখ-২০/০৮/১৯৯৪, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বারঃ ৬৪২১৭৫৪০২৬,), পিতা- মোঃ আজমত আলী, মাতা- সুফিয়া বেগম, গ্রাম- কোনাগ্রাম, ডাকঘর- তালমা, থানা-নগরকান্দা, জেলা- ফরিদপুর, তিনি সচিবের প্রভাব খাটিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। এর পাশাপাশি তাকে মোটা অংকের টাকা দিলেই মিলে ঢাকা মহানগরসহ সারা বাংলাদেশের জেলা-উপজেলায় ওএমএস ডিলার। মোঃ শাহিন এম পি দের ভুয়া ডিও লেটার বানিয়ে অন্যের সিম ও এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে জাল/জালিয়াতির মাধ্যমে নামে বেনামে অসংখ্য টিসিবি ডিলার ব্যবসা শুরু করে এবং কার্ডে পণ্য উত্তোলন করে ব্লাকের মাধ্যমে বিক্রি করে। মোঃ শাহীন সারা বাংলাদেশে সংঙ্গবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে চাকরির আড়ালে ওএমএস ও টিসিবি ডিলারের সিন্ডিকেটে কার্যক্রম পরিচালনা করে, যা সরকারি কর্মচারী আইন নিয়মবিধি লঙ্গন। বর্তমানে তার জ্ঞাতআয় বর্হিরভূত কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। সামান্য একজন গাড়ীচালক হয়ে ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় বাড়ী-ফ্ল্যাট ও বিলাস বহুল গাড়ীর মালিক হন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের গাড়িচালক মোঃ শাহিনের বয়স জাল সার্টিফিকেট সনদ জালিয়াতির অভিযোগসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের যাবতীয় অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা ও দুর্নীতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করবে।

এই ব্যাপারে শাহিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন জবাব দেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *