• ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার বিকাল ৪:৫৯
S M Tajul Islam মার্চ ১, ২০২৫

কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাসুম ৫০ লাখ টাকার ফান্ড আত্মসাৎ করতে তৎপর

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেরাণীগঞ্জ জেলখানার জেলার ৫০ লাখ টাকার ফান্ড নিজ পকেটে নিতে জেল খানার ভিতরের পরিবেশ বন্ধু সবুজ গাছ-গাছালি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। গাছপালা জালাতে গিয়ে বিদ্যুৎএর অনেকগুলো খুটি আগুন ধরে পুড়ে যায়। এতে কারাগারের বন্দীরাও জীবন র্ঝুঁকিতে রয়েছে। আইনে আছে সরকারি স্থাপনার ভিতরে গাছ কাটতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু উক্ত জেলার ক্ষমতার দাপটে তা ভ্রুক্ষেপ করে নাই। কেরানীগঞ্জ কারাগারে আশেপাশের লোকজন আগুন আতংকে দিন অতিবাহিত করছে।

ঢাকা কেরানীগন্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার একে এম মাসুম আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগীতা করে আসছে বিভিন্নভাবে । মোবাইলসহ সব কিছু দিয়ে। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়ে আছে, তারপর তা কালক্ষেপন করছে ঢাকা বিভাগের ডি আই জি প্রিজন জাহাংগীর আলম। কারণ এই তদন্ত বিলম্ব হওয়ার কারণ হল সিসি ক্যামেরায় ধরা খাবে বিধায় সময় নস্ট করে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।

বিভিন্ন বন্দীর পিসিতে টাকা জমা দিলে তা অনেকেই পায় না, এবং জামিন হলেও যা জমা থাকে তা জামিনের সময় ফেরত দেয়া হয় না, এভাবে জেলার ২০ লাখের বেশী টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

জেলার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে খারাপ আচরন করে, আওয়ামী লীগ এর লোকদের মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে সুর্যমুখী, বনফুল, শাপলা এসব ওয়ার্ডে জামাই আদরে রাখেন। তিনি পরিচয় দিয়ে থাকেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের এলাকার মানুষ, সেই প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। জেলারের এসব কাজের সহযোগী সার্জেন্ট আমিনুল, টাকার ভাগ নিয়ে সামাল দিয়ে থাকেন ডিআইজি প্রিজন জাহাংগীর আলম। কেন্দ্রীয় কারাগারের কেন্টিনে খাবারের দাম ৩ গুন, নেয়া হয়। বন্দীদের মোবাইল কল রেট ২০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। এতে দৈনিক কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জেলার। তথ্য নিয়ে জানাযায় একজন বন্দী ১০ মিনিট কথা বলেন, সে হিসেবে ২০০০ বন্দী প্রতিদিন কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের বহুনেতার চেক সই করিয়ে দিয়ে কোটি কোটি আওয়ামী লীগের লোকজন সরিয়ে নিয়েছেন। জেলার একে এম মাসুম কয়েক শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শুধু চেকে স্বাক্ষর করিয়ে। জেলার এ কে এম মাসুম যা বাংলাদেশ জেলের ইতিহাস তার সাথে অর্ডারী কাজ করত সুহেল, সার্জেন্ট আমিনুল, আওয়ামী লীগ আমলে কেরানীগঞ্জ এ পোস্টিং পাওয়া ডেপুটি জেলার তানজিল যার বিষয়ে নানা অভিযোগ অনিয়ম দুর্নীতি থাকার পরেও গত ২ বছর যাবত বদলী স্টপ করে রাখা হয়েছে। অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সহায়তায় বদলী নিয়ে এসে এই ৬০ জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে সব কিছু নিজের ইচ্ছে মত করছেন এবং যারা আওয়ামী লীগ আমলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত রেখেছিল সেই সকল স্টাফদের পূণ গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা, জেলার একেএম মাসুম ও ডেপুটি জেলার তানজিল, সার্জেন্ট আমিনুল কেরানীগন্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বেসর্বা। আওয়ামী লীগের কোন নেতার জামিন হলে জেলার, তানজিল, যাকে মনে করে এসবি, ডিএসবি, এনএসআই তাদেরকে মেনেজ করে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আসামীদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছাড়েন, আবার অনেকের ক্লুিয়ারেন্স প্রয়োজন নেই টাকা আছে ভয় দেখিয়ে ক্লিয়ারেন্সের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। মুখে মুখে বিএনপির লোক পরিচয় দিলেও আওয়ামী লীগের জন্য যা করলে তাদের ভাল হয় তাই করছেন। এবং উত্তর বঙ্গের সংসদ সদস্য এইচটি ইমামের ছেলে তানভির ইমাম, আসাদুজ্জামান নূর, নুরুল ইসলাম মজুমদার, এক্সিম ব্যংকের চেয়ারম্যান ও নাসাগ্রুপের চেয়ারম্যান থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে জেলার ও ডেপুটি জেলার তানজিল বিএসএমএমইউ তে ৪৪দিন ভর্তি রাখিয়া সুযোগ দেয়ার অভিযোগ আছে, এমন আরো অনেককেই জেলার কারাগারের ভিতর বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। জেলার যাকে মনে করে তার দুর্নীতির সাথে দ্বিমত তাকেই সে কোন না কোন উপায়ে বদলী করে তার দুর্নীতির রাস্তা সুগম রাখে। মির্জা ফখরুল সাহেবের এর এলাকার ঘনিষ্ঠ জন পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকদের আতংকে রেখে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, বিএনপির হলে অনেক সুবিধার সুযোগ করে দিবে বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কারাগারের ৯৮% স্টাফ তাকে পছন্দ করছেন না, গ্রুপিং সিন্ডিকেট করে প্রশাসন চালাচ্ছেন।

কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দী আছে প্রায় ৯ হাজার, এদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি গায়ে মাখার সাবান মাসে একবার করে, হারপিক, সরিসা তৈল ৫০ গ্রাম করে, গরীব বন্দী হলে জামিনে যাওয়ার সময় তার যাতায়ত ভাড়া, রান্না ঘরের জন্য এটেলন মাঠিসহ কিছু মাটি কেনার বরাদ্ব । কারা কেন্টিনে যা রান্না হয় এর মধ্যে তৈল, সকল মসলা, সহ ৬০% পন্য – দৈনিক যে খাবার পায় বন্দীরা তা থেকে কম দিয়ে কেন্টিনে রান্না করে এদের খাবারই এদের কাছে বিক্রী করে, এ ভাবে প্রায় মাসে ৫০ লাখ টাকা জেলার হাতিয়ে নিচ্ছেন এবং জেলার এতই ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন টাকার দাপটে সে জেল সুপারের সাথে ফাইলে বন্দী ভিজিটে যায় না।এবং বন্দীদের জরুরী সেবার পিকআপ গাড়ী সে ব্যক্তিগতভাবে একজন ড্রাইভার সহ ব্যবহার করছেন।
এভাবে জেলার কেরানীগঞ্জ কারাগারে কে জিম্মিরেখে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার একে এম মাসুম’র বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সাক্ষাৎ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, এবং মোবাইলেও চেস্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *