
ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্রের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কুফর এবং শিরক: আমীর, ইসলামী সমাজ
মঞ্জুর আহমেদ নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে সার্বভৌমত্বের মালিক, আইন-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা মেনে নিলে এবং আলকুরআন বিরোধী সংবিধান ও এরই ধারক-বাহক নেতা বা সরকারের আনুগত্য স্বীকার করলে আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা হয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় জনগন সার্বভৌমত্বের মালিক, জনপ্রতিনিধিগণ আইনদাতা-বিধানদাতা ও সরকার হয় শাসনকর্তা এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিতে রচিত আলকুরআন বিরোধী সংবিধান ও এরই ধারক-বাহক সরকারের আনুগত্য স্বীকার করা হয় বিধায়; ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা- ইসলাম বিরোধী মতবাদ- জাহান্নামের পথ । তিনি বলেন, যেহেতু গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন মানুষের সার্বভৌমত্বের অধীনে আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের আনুগত্য স্বীকার করেই অনুষ্ঠিত হয় সেহেতু গণতান্ত্রিক নির্বাচন ইসলাম বিরোধী অপরাধ, ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্রের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কুফর এবং শিরক ।
“ইসলামী সমাজ’ ঢাকা মহানগরের দায়িত্বশীল, মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় “ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি” বিষয়ে ১৯ অক্টোবর, রবিবার, সকাল ১১:৩০ মিনিটে, জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, গণতন্ত্রের নির্বাচন, গণআন্দোলন, সেনা ক্যু এবং সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদাগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়। ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে দাওয়াত কবুলকারী ঈমানদারগণের সমাজ গঠন আন্দোলন’ই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদাগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পদ্ধতি। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মক্কায় প্রতিষ্ঠিত জাহিলি সমাজের লোকদেরকে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে দাওয়াত কবুলকারী ঈমানদারগণকে তাঁর নেতৃত্বের আনুগত্যে ঐক্যবদ্ধ করে জাহিলি সমাজের বিপরীতে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন গড়ে তুলেন । মক্কী জীবনের ১৩ বছরের আন্দোলনে সবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে একতরফা নির্যাতিত হয়েছিলেন। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহই মদীনায় অনুকূল পরিবেশ গঠন করে রাসূল (সাঃ) কে মদীনায় রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব দান করেছিলেন । রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পরই তিনি পর্যায়ক্রমে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে ইসলাম বিরোধী আইন মূলোৎপাটন করে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তখনই বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র লড়াই করেছিলেন। এভাবেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সুতরাং, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের আগে নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পর বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র লড়াই করার বৈধতা ইসলামে আছে।
তিনি বলেন, “ইসলামী সমাজ’ ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমেই আমীরের নেতৃত্বের আনুগত্যে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর অনুসরণ ও অনুকরণে আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত সমাজের বিপরীতে সবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে দাওয়াত কবুলকারীগণের সমাজ গঠন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে যখন রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব তথা খিলাফত দান করবেন, তখন আমরা পর্যায়ক্রমে ইসলাম বিরোধী আইন মূলোৎপাটন করে ইসলামের আইন-বিধান মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ । সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন ৩ দফা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেন- ১ম দফা: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানায় নভেম্বর ও ডিসেম্বর ২০২৫.