• ২৩শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার রাত ২:৪৭
S M Tajul Islam নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমৃত্যু দেশের স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে কাজ করেছেন মেজর (অব) এম এ জলিল

ঢাকা : একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমৃত্যু কেবল দেশের স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাত্ পূর্ণ মেয়াদে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন বলে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শনিবার ২৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে,মুক্তিযুদ্ধের ৯ নাম্বার সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর (অব) এম এ জলিল-এর ৩৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

আ.স.ম. আবদুর রব বলেন,একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমৃত্যু কেবল দেশের স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাত্ পূর্ণ মেয়াদে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বাইরেও লেখক হিসেবে মেজর জলিল উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ছাত্রজীবনেই তাঁর লেখালেখির অভ্যাস ছিল। স্বাধীনতার পরে সরকারী বাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন ও জেল-জুলুমের পরও অন্যায় আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদী কন্ঠ ছিল সোচ্চার। সরকারবিরোধী রাজপথের নানা আন্দোলনে মেজর জলিল ছিলেন সম্মুখ সারির নেতা। অন্যায় আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আপোষহীন নেতা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিয়াউল কবির দুলু বলেন,মেজর (অব) এম এ জলিলের ধনদৌলতের প্রতি তাঁর ছিল না কোনো মোহ। দেশ, দেশের মাটি ও দেশের জনগণই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় সম্পদ। মেজর জলিল তাঁর জীবদ্দশায় রাষ্ট্রীয় কোনো পুরস্কার বা সম্মাননা পাননি। এমনকি রাষ্ট্র কর্তৃক তাঁকে মুক্তিযোদ্ধার খেতাবটি পর্যন্ত দেয়া হয়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর পরে স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ন অবদানের জন্য মেজর এম এ জলিলের নামে ঢাকা মহানগরীর একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর ব্রিজটি মেজর জলিলের নামে করা হয়েছে।এ ছাড়া নগরীর কাঁটাবন মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত সড়কটি এখন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিল সড়ক নামে পরিচিত,তার স্মৃতি আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

উক্ত স্মরণ সভা সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার রোমেল চৌধুরী,সভায় প্রধান অতিথি আ.স.ম. আবদুর রব সভাপতি: ব্যারিস্টার রোমেল চৌধুরী,আলোচক: শরীফ নূরুল আম্বিয়া,, আবুল হাসিব খান আব্দুস সালাম, রাজেকুজ্জামান রতন , অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিয়াউল কবির দুলু, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *