
আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহার ভ্যেকু দিয়ে ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে গেলেও প্রশাসন নির্বিকার
বিশেষ প্রতিনিধি: পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী পরিবারের সদস্য ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাভার আমিন বাজার ভাকুর্তা মোগড়াকান্দা দক্ষিণ পাড়ার চিহ্নিত দখলবাজ, চাদাবাজ বাহার উদ্দিন বাহার রাতের আধারে ভ্যেকু দিয়ে মানুষের শত শত তিন ফসলি জমির ক্ষতিসাধন করে মাটি কেটে নিয়ে গেলও পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার। শত অপরাধ করেও পুলিশের নাগের ডগায় এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় বাহার উদ্দিন বাহার তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতন ঘটার পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়।
দেশবাসীসহ গণতন্ত্রকামী মুক্তমনা মানুষ আশান্বিত হয়, তারা প্রত্যাশা করে এবার হয়তো দীর্ঘদিনের কলুষিত রাজনৈতিক কালচারের পরিবর্তন হবে এবং তাদের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো সন্ত্রাসী, মাস্তানী, দখলবাজী, চাদাবাজী, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা, হয়রানী ঠিকই অব্যাহত রয়েছে। আসলে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির তেমন কোন পরিবর্তন ঘটে নাই। সচেতন মানুষের মতে, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের বিদায় হয়েছে বটে, তবে সেই জায়গায় নব্য চাদাবাজ, দখলবাজ, সন্ত্রাস, মাস্তানী, সিন্ডিকেটের রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে মাত্র। পুরাতনের স্থলে নতুন করে চাদাবাজ, লুটপাটকারী, দখলবাজদের আবির্ভাব ঘটেছে।
অভিযোগ আছে সারাদেশে এদের বেশিরভাগেরই আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী। এদের সাথে আবার যুক্ত হয়েছে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের চিহ্নিত দোসররা। যার নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালী স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহার উদ্দিন বাহারে বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখল করে সেই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ আছে। বাহার উদ্দিন গংরা সাভারে ১৭ বছর ধরে এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করেনি। আর পূর্বে দিনের বেলায় ভ্যেকু দিয়ে অন্যের জমিতে মাটি কাটলেও এখন রাতের বেলায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ছোট ভ্যেকু দিয়ে তিন ফসলি ধানি জমির ক্ষতিসাধন করে মাটি কেটে বিক্রি করছে। থানায় দু ডজন মামলা থাকা সত্ব্যেও পুলিশ তাদের ধরে ছেড়ে দিচ্ছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহার উদ্দিন বাহার সাভার থানার আমিনবাজার ভাকুর্তা ইউপির মোগড়া কান্দা দক্ষিনপাড়ার মৃত হাকিম মাস্টারের ছেলে। তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি করে মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে। অন্যের জমি দখল করে রাতের বেলায় মাটি কেটে বিক্রি করা তার কাজ। তার সন্ত্রাসী বাহিনীতে সাদ্দাম হোসেন, আমজাদ হোসেন, নাজু, আলাউদ্দিন, নাদির হোসেন, সালাউদ্দিন, মোগড়াকান্দী গ্রামের মোঃ সাঈদ সহ আরো নাম না জানা অনেক সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য। এদেরকে স্থানীয় থানার পুলিশ কেনো গ্রেফতার করছে না তার জবাব পুলিশই দিতে পারবে। তাদের সন্ত্রাসী অনেক কর্মকান্ড ও অপরাধের সংবাদ ইতিমধ্যে সকল জাতীয় পত্রিকায় এবং টিভি চ্যানেলেও প্রচারিত হয়েছে।
কিছুদিন আগে অন্যের জমিতে ভ্যেকু দিয়ে মাটি কার সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ভ্যেকু ভেঙ্গে দেয়, তথাপিও পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। অতি সম্প্রতি বাহার উদ্দিন বাহারের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করলেও এখনো তারা গ্রেফতার হয়নি। জানা যায় বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্র ছায়ায় তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। উল্লেখ্য, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের ১৫ বছর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে গেলেও বাহার ও তার বাহিনী পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এই সন্ত্রাসী বাহার আওয়মী আমলে দলীয় বহু মিছিলের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এখনো তার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।