অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিও করতে হবে: নুরুল হক নুর
ঢাকা : আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিও করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
রবিবার ২৪ নভেম্বর সেগুনবাগিচা কচি কাঁচামেলা মিলানায়তনে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কতৃক “বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী শিক্ষা ) ব্যবস্থার আন্তরায় ও উত্তোলনে উপায়” “শীষক” আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমারা কিছু বল্লে যেকোনো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে কিন্তু আমরা তদবির করিনা, আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিও করতে হবে; বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ থেকে চাকরি নিয়মিতকরণ ও বেতন-ভাতা নিশ্চিতকরণ; শতভাগ বিদ্যালয়ে আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ; প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করা, একটি আধুনিক থেরাপি সেন্টার নিশ্চিতকরণ ও সব শিক্ষার্থীর মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ দিতে হবে।
আব্দুল হালিম বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কারের শুরু হতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। বিশেষ শিশুদের পাশাপাশি সব শিশুদেরকে এই চারিত্রিক গঠন ও নীতিশিক্ষার আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে ফেলে দেশ গঠন সম্ভব নয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন , আগামী সাতদিনের মধ্যে শিক্ষকদের দাবিগুলো অনতিবিলম্বে পুরাণ করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ঘোষণা এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ এর আলোকে স্বীকৃতি ও বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য দাবি জানাচ্ছি,তার ফলে মানবেতর জীবনযাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে সরকারঘোষিত শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে।
সংগঠনটির সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এছাড়া ২০১৯ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে। কিন্তু এখনো এই বিদ্যালয়গুলোর কোনো সুরাহা করতে পারেনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সংগঠনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ গাউসুল আজম শিমু, বলেন ,প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নকরণ, একটি আধুনিক থেরাপি সেন্টার নিশ্চিত ও শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ দিতে হবে। প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রতিবন্ধী ভাতা শতভাগ সুনিশ্চিত করা, প্রতিবন্ধী ভাতা ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবন্ধী কোটার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষা জীবন শেষে প্রত্যেকের আত্মনির্ভরশীল জীবন যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ইউনিভার্সেল গ্ৰুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.সোহানী হোসেন, সার্বিক তত্বাবধান করেন অসংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস রাজ, উদ্বোধক সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সঢিব এ এস এম আব্দুল হালিম,প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরবক্তব্য রাখেন প্রধান বক্তা নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কান্ধন,গণস্ংহতি আন্দোলনের প্রধান সম্ময়কারী জোনায়েদ সাকী,বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব ইসরাত জাহান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত সংগঠনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ গাউসুল আজম শিমু, সঞ্চালনার ছিলেন, রিমা খাতুন, আকুল শেখ, মহিউদ্দিন বাবু সহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ।